দেশের ৪১ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের জন্য গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে সরকার।

কিন্তু অনেক বিদ্যালয়ে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বাইরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও ব্যক্তিগত ডিভাইজ ব্যবহার করেই শিক্ষকরা শেষ করছেন এসব ডাটা।

তাই বাধ্য হয়ে অভিযুক্ত এসব শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অহেতুক ডাটা ব্যবহারের সকল দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নিতে হবে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর।

গতকাল বুধবার (২৪ আগস্ট) বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতর থেকে জারি করা আদেশটি সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুহিবুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় ৪১ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে এক মাসে ৪০০ টাকার প্যাকেজে ২০ জিবি ডাটা সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি ওয়াই-ফাই রাউটারের মাধ্যমে এ ইন্টারনেট সংযোগ সর্বোচ্চ ১০ জন শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে। বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সংযোগ মনিটরিং করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে একটি ড্যাসবোর্ড রয়েছে।